রাজধানীর সদরঘাটে পটুয়াখালীগামী একটি লঞ্চের কেবিনে এক কিশোরীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেন লঞ্চের কর্মচারীরা। নিহত কিশোরীর নাম পারুল আক্তার (১৬)। তার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে। আটককৃত আল মামুন পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈগল-৩ নামের পটুয়াখালীগামী লঞ্চটি বিকালে সদরঘাটের ৭ নম্বর পন্টুনে ভেড়ানো হলে আল মামুন নামে ওই যুবক তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর ডাবল কেবিনে ওঠে। মামুন ও তার বাবা-মা গ্রামের বাড়ি যাবে বলে লঞ্চের লোকজনকে জানিয়েছিল। ওই সময় মামুনের সঙ্গে কেউ ছিল না।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক কেবিন বয় ৩০৮ নম্বর কেবিন থেকে রক্ত বের হতে দেখে অন্যদের ডাকেন। তখন কেবিন বয়রা জানালা খুলে কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায়। এরপর তারা মামুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম বলেন, ওই কিশোরীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ওই কেবিন থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment